সিটি ব্যাংক বিকাশ লোন । বিকাশ লোন ফরম ২০২৩

সিটি ব্যাংক বিকাশ লোনের মাধ্যমে আপনি ৫০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত bkash loan গ্রহণ করতে পারবেন। পারফেক্ট সময়ে বিকাশ লোনের সুবিধা উপভোগ করুন!

সিটি ব্যাংক বিকাশ লোন । বিকাশ লোন ফরম ২০২৩

বিকাশ লোন সিটি ব্যাংক

বিকাশ লোন সিটি ব্যাংক হলো একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান, যা বাংলাদেশে বিকাশ পেমেন্ট সিস্টেমের অংশীদার হিসেবে পরিচিত। এটি ব্যক্তিগত ও পেশাজীবী ঋণ প্রদানে বিশেষভাবে বিশ্বস্ত এবং সহজ ব্যবহার করা হয়।

বিকাশ লোন সিটি ব্যাংকে আবেদন করতে হলে ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। লোনের পরিমাণ ও সুবিধা নির্ভর করে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত অর্থনীতি ও ব্যবসার স্থিতির উপর। এই লোনের মাধ্যমে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তাদের পূর্বের সম্পত্তি ও আবশ্যকতাগুলো পূরণ করতে পারে এবং নতুন ব্যবসা শুরু করতে পারে।

বিকাশ লোন সিটি ব্যাংকে আবেদনের পর এর কর্মকর্তারা আবেদনকারীর তথ্য পর্যবেক্ষণ এবং নিরীক্ষণ করে পর্যালোচনা করে। আবেদন মেনে নেওয়া হলে, ঋণ প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় নথি এবং পণ্যের সনদপত্র সংগ্রহ করে অনুমোদন করে দেয়। লোনের শর্তাদির মধ্যে সংখ্যাযোগের মাধ্যমে কমিউনিকেশন স্থাপন করে অনুমোদিত লোন প্রদান করা হয়।

বিকাশ লোন সিটি ব্যাংক সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান এবং দক্ষ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে দ্রুত ঋণ প্রদান করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানদের সহায়তা করে। এর মাধ্যমে ব্যবসা উন্নয়ন এবং অর্থনীতি প্রগতিশীল করার সুবিধা দেওয়া হয়। তাই, বিকাশ লোন সিটি ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনায় আগামের পথিক সমর্থন করে এবং আর্থিক স্থিতি উন্নত করতে সহায়তা করে।

বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার সুবিধা

বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার কিছু সুবিধা রয়েছে:

ত্বরিত ঋণ প্রদান: 

বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে লোনের আবেদন সহজেই করা যায় এবং অনুমোদন পাওয়ার পর তা ত্বরিতই প্রদান করা হয়। সিটি ব্যাংক অ্যাপে দেখা যায় লোনের স্ট্যাটাস এবং ঋণের পরিমাণ সহ সম্পূর্ণ তথ্য।

৩ মাস মেয়াদী লোন: 

বিকাশ অ্যাপ দ্বারা সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার সময় লোনের মেয়াদ ৩ মাস। এটি অন্যান্য লোনের তুলনায় মেয়াদের মধ্যে সহজতর এবং সংক্ষেপের সুবিধা দেয়।

কোন ব্যাংক একাউন্ট বা জামানত প্রয়োজন নেই: 

বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে কোন ব্যাংক একাউন্ট অথবা জামানতের প্রয়োজন নেই। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ এবং সুবিধাজনক করে।

কাগজপত্র প্রয়োজন নেই: 

সিটি ব্যাংক লোনের জন্য বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করলে কোন কাগজপত্র প্রদান করতে হবে না। এটি সময় এবং পেপারও বাঁচায়।

অটো-কিস্তি পরিশোধ সুবিধা: 

বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পরিশোধ আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স থেকেই অটোমেটিক কিস্তিতে প্রদান করা হয়। এটি ব্যবহারকারীদের টাইমলাইনের মধ্যে পরিশ্রম ও সংক্ষেপের সুবিধা দেয়।

লোনের প্রসেসিং ফি: 

সিটি ব্যাংক থেকে বিকাশ অ্যাপ মাধ্যমে লোন নেওয়ার জন্য ব্যাংক প্রসেসিং ফি আছে, যা ০.৫৭৫% (০.৫% + ভ্যাট)। এটি লোনের পরিমাণের উপর নির্ভর করে এবং সাধারণত অন্যান্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রসেসিং ফির সাথে তুলনায় কম হয়।

সিটি ব্যাংক বিকাশ লোন আবেদন করার নিয়ম কি ?

বিকাশ লোন সিটি ব্যাংক আবেদন করার জন্য আপনার নিম্নলিখিত নিয়মাবলীকে অনুসরণ করতে হবে:

  • বিকাশ সিস্টেমে নিবন্ধিত হোন: আপনাকে প্রথমে বিকাশ অ্যাপ ইনস্টল করে নিজের ব্যক্তিগত এবং ব্যাবসায়িক তথ্য প্রদান করে একটি বিকাশ অ্যাকাউন্টে নিবন্ধন করতে হবে।
  • ব্যক্তিগত ও ব্যাবসায়িক তথ্য প্রদান করুন: আপনাকে আবেদন ফরমে আপনার নাম, মোবাইল নম্বর, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা, পেশা, আয়ের তথ্য ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। সঠিক ও পূর্ণ তথ্য প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • লোনের পরিমাণ নির্ধারণ করুন: আপনাকে লোনের পরিমাণ নির্বাচন করতে হবে। আপনি কতক্ষণ পর্যন্ত লোন নিতে চান তা নির্ধারণ করতে হবে।
  • লোনের শর্তাবলী পড়ে বুঝে নিন: আপনাকে বিকাশ লোনের জন্য নির্ধারিত শর্তাবলী পড়ে বুঝে নিতহবেন। এটি আপনাকে লোনের সুদের হার, পরিশোধের সময়সীমা, পরিশোধের পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।
  • আবেদন জমা দিন: আপনার সমস্ত তথ্য প্রদান করার পর আপনাকে আবেদনটি জমা দিতে হবে। আপনি বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে অথবা আপনার সামান্য বিকাশ অফিসে গিয়েও আবেদনটি জমা দিতে পারেন।
  • অনুমোদন অপেক্ষা করুন: আপনার আবেদন প্রক্রিয়াধীন থাকবে এবং অনুমোদনের জন্য পর্যালোচনা করা হবে। অনুমোদিত হলে, আপনি লোন প্রাপ্ত করতে পারবেন এবং অ্যাপ বা অফিস এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

এই নিয়মাবলীগুলো অনুসরণ করে আপনি বিকাশ লোন আবেদন করতে পারবেন। এটি আপনাকে সঠিকভাবে বিকাশ লোন প্রাপ্ত করতে সাহায্য করবে। আপনি অ্যাপ বা অফিসে যাওয়ার মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন এবং আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। বিকাশ লোন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আপনি বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন বা বিকাশের অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার যোগ্যতা

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার জন্য নিম্নলিখিত যোগ্যতা গুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে:

  • বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার: আপনাকে বিকাশ অ্যাপ ইনস্টল করে ব্যবহার করতে হবে। লোন আবেদন এবং প্রক্রিয়াটি অপ্রাণিত অপশন দ্বারা সম্পন্ন হবে।
  • নিবন্ধিত ব্যবসা বা স্বাক্ষরিত পেশা: আপনার কাছে নিবন্ধিত একটি ব্যবসা বা স্বাক্ষরিত পেশা থাকতে হবে। যেমন ব্যবসা মালিক, পেশাদার, চিকিৎসক, ব্যাংক কর্মকর্তা ইত্যাদি।
  • প্রয়োজনীয় অ্যাকাউন্ট: আপনার নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। লোন প্রদানের জন্য এই অ্যাকাউন্টে মূল্য জমা দিতে হবে।
  • ভূমিকা অনুযায়ী প্রমাণপত্র: আপনাকে যে কোনও প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সরবরাহ করতে হবে লোন আবেদনের সময়। যেমন নাগরিকত্ব প্রমাণপত্র, ব্যবসায়িক নিবন্ধনপত্র, ট্যাক্স রিটার্ন, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি। এই প্রমাণপত্রগুলি আপনার যোগ্যতা এবং আর্থিক অবস্থার প্রমাণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • আর্থিক যোগ্যতা: আপনাকে আর্থিক যোগ্যতা প্রদর্শন করতে হবে লোন পরিশোধের জন্য। আপনার আয়, ব্যয়, ঋণের পরিশোধের প্রক্রিয়া ইত্যাদি পর্যালোচনা করা হবে।

সাধারণত, এই যোগ্যতাগুলো পূরণ করলে আপনি বিকাশ থেকে লোন নিতে যোগ্য হবেন। তবে, বিকাশ লোনের জন্য সকল নির্দিষ্ট যোগ্যতা এবং শর্তাবলী আপনার অবগত থাকতে হবে, যা সংশ্লিষ্ট বিকাশ লোন সংস্থা বা অ্যাপের ওয়েবসাইটে উল্লেখিত থাকবে।

বিকাশ থেকে কত টাকা লোন নেওয়া যায়

বিকাশে লোনের সর্বাধিক সীমা হলো ২০,০০০ টাকা। এই সীমা মধ্যে একজন গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ দিয়ে সিটি ব্যাংক থেকে ৫০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহণ করতে পারবেন। 

গ্রাহকের বিকাশ একাউন্টে লোনের টাকা জমা হবে এবং বিকাশ একাউন্ট থেকে গ্রাহক লোনের টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। 

একজন গ্রাহক একবারে একটি লোন নিতে পারবেন। লোন অ্যামাউন্টের উপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে বাৎসরিক ৯% সুদ প্রযোজ্য হবে।

বিকাশ লোন কিভাবে নিবো ?

বিকাশ লোন (Bkash Loan) পেতে আপনার একটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যক। আপনি নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে বিকাশ লোন নিতে পারেন:প্রথমে আপনার সরাসরি বিকাশ অ্যাপটি খুলুন বা বিকাশ ওয়েবসাইটে যান।

আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন আপনার মোবাইল নাম্বার এবং PIN ব্যবহার করে।
হোমপেজে যান এবং “লোন” অপশনটি নির্বাচন করুন।

সিটি ব্যাংক বিকাশ লোন । বিকাশ লোন ফরম ২০২৩

Bkash App

  • এখন আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করুন, যেমন আপনার নাম, ঠিকানা, পেশা ইত্যাদি।
  • আপনার পরিচিতিপূর্ণ তথ্য প্রদান করাটি জরুরী কারণ এই তথ্যগুলো লোনের জন্য প্রয়োজন হতে পারে।
  • একটি লোনের পরিমাণ নির্বাচন করুন যা আপনি উত্তেজনাপূর্ণ পরিমাণ হিসাবে প্রদান করতে চান।
  • এখন লোনের মেয়াদ নির্ধারণ করুন। আপনি কতক্ষণ পর্যন্ত এই লোনটি পরিশোধ করতে চান তা নির্বাচন করতে হবে।
  • তারপরে, আপনার সমস্ত তথ্য পর্যালোচনা করুন এবং “প্রস্তুত করুন” ক্লিক করুন।
  • আপনার আবেদন প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যান এবং আপনি কি করতে হবে তা অনুসরণ করুন।
  • আপনার অ্যাপ্লিকেশন প্রক্রিয়া হয়ে গেলে, আপনার কাছে একটি অনুমোদন বা প্রতিভূক্তি মেসেজ পাবেন।

এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করলে, আপনি বিকাশ লোন নিতে পারবেন। তবে আপনার ঋণের আবেদন সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই অনুমোদিত হয়বে বা প্রতিভূক্তি দেওয়া হবে, যদি আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে অথবা অন্য কোনও অপুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়ে গেলে আপনি ঋণ পাবেন না। তাই নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি সমস্ত আবেদন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুসরণ করছেন।

বিকাশ লোন ফরম

বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে বিকাশ লোন নেতে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট বা বিকাশ লোন ফরম প্রদান ছাড়াই সক্ষম হবেন। বিকাশ পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম এই সেবা উপলব্ধ করে এবং এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অনলাইনে অথবা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে প্রয়োজন অনুসারে লোন পেতে সক্ষম হয়।

বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে লোন প্রদানের প্রক্রিয়া সহজ এবং ব্যবস্থাপনার কাজগুলি সম্পূর্ণ অনলাইনে সম্পন্ন করা যায়। আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং ঋণের পরিমাণ প্রদান করে লোন প্রদানের জন্য আবেদন করতে পারেন। এই প্রক্রিয়া ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে সরকার প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়।

বিকাশ অ্যাপ দ্বারা লোন নেতে ব্যবহারকারীদের কাছে সর্বোচ্চ সুবিধা এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদান করা যায়। এই প্রক্রিয়া ব্যবহারকারীর অর্থনৈতিক সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সহায়ক।

এই সেবার জন্য আপনি আপনার ব্যবস্থাপনা এবং অপারেশনের উপর নির্ভর করতে পারেন, যা বিকাশ প্রদান করে যাতে সম্পূর্ণ অনলাইনে সম্পাদন করা যায়।

বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি বিকাশ লোন ফরম প্রদান ছাড়াই সহজেই লোন নেতে সক্ষম হবেন।

সিটি ব্যাংকের বিকাশ গ্রাহকরা যেসব লোন সুবিধা পাবেন

সিটি ব্যাংকের বিকাশ গ্রাহকরা নিম্নলিখিত লোন সুবিধা পাবেন:

  • কোনো ব্যাংক একাউন্ট বা জামানত প্রয়োজন নেই।
  • কোনো কাগজ-পত্র প্রস্তুত করতে হবে না।
  • লোন অ্যাপ্লাই করার সাথে সাথেই লোন পাবেন।
  • লোনের মেয়াদ ৩ মাস।
  • একাউন্ট ব্যালেন্স থেকেই অটো-কিস্তি পরিশোধের সুবিধা পাবেন।
  • লোনের উপর ব্যাংক প্রসেসিং ফি ০.৫৭৫% (০.৫% + ভ্যাট)।

সিটি ব্যাংক এই সুবিধাগুলি সাপেক্ষে বিকাশ গ্রাহকদের লোন প্রদান করবেন, যদিও এই সুবিধাগুলি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। আপনি বিকাশ অ্যাপের লোন অপশনে যাওয়ার মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে লোন প্রাপ্ত করতে পারেন। লোনের সম্পর্কিত বিশদ তথ্যগুলি এই অপশনে উল্লেখ করা আছে। সেখানে আপনি ইন্টারেস্ট রেট, লোন লিমিট, লোন পরিশোধের নিয়মাবলি, লোন পাওয়ার যোগ্যতা, ক্রেডিট পলিসি বিকাশ লোন ফরম এবং অন্যান্য তথ্য পেতে পারেন। সিটি ব্যাংক এই তথ্যগুলি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে সংরক্ষিত রাখেন।

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা ?

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার সুবিধাগুলি এবং অসুবিধাগুলি একটি সম্পূর্ণ বিবেচনা করতে পারেন:

সুবিধাগুলি:

  • সহজ আবেদন: বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে লোন জন্য আবেদন করা খুবই সহজ এবং সরাসরি অনলাইনে সম্পন্ন হয়।
  • সম্পূর্ণ ইনফরমেশন: আপনি আবেদন করার সময় সম্পূর্ণ তথ্য দেয়া হয় যাতে আপনি পুরোপুরি স্বচ্ছতার সাথে সম্পূর্ণ বিবেচনা হতে পারেন।
  • দ্রুত অনুমোদন: অ্যাপ্লিকেশন প্রক্রিয়াটি দ্রুত প্রকাশ করে এবং অনুমোদন করে যেমনটি আবেদন করা হয়। এটি আপনাকে সময় ও শ্রম সংযোজন করে তুলবে।
  • প্রাথমিক কমিশন: বিকাশ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে লোন নেওয়ার সময় আপনাকে কমিশন প্রদান করতে হয় না, যা আরও উপকারী হতে পারে।

অসুবিধাগুলি:

  • সীমিত লোন পরিমাণ: বিকাশে লোনের সীমার মধ্যে আপনি শুধুমাত্র ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। এটি বৈদ্যুতিন প্রকৃতিতে সীমাবদ্ধতা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যাবস্থাপনা ও নিরাপত্তা সরবরাহ করে। যদি আপনি এই সীমা অতিক্রম করতে চান, তবে আপনাকে বিকাশ অ্যাপটি ব্যবহার করে অন্য নির্দিষ্ট লোন সেবা প্রদানকারী ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে।
  • আবেদনের অনুমোদনের অপেক্ষা: লোন আবেদনের অনুমোদন প্রক্রিয়াটি সময় নিয়ে নিতে পারে। অনুমোদিত হওয়ার আগে আপনার কিছুটা অপেক্ষা করতে হতে পারে।
  • সীমিত লোন প্রদানের সীমা: লোন প্রদানের সীমার মধ্যে আপনি শুধুমাত্র যে পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে পারেন সেই সীমার মধ্যে ব্যবহার করতে পারবেন। 

বিকাশ লোন পরিশোধ করবেন যেভাবে

বিকাশ অ্যাপ মাধ্যমে লোন পরিশোধ করার পদ্ধতি নিম্নরূপ:

  • পরিশোধ নির্ধারণ: গ্রাহককে বিকাশ অ্যাপের ড্যাশবোর্ডে লোন কিস্তির পরিমাণ এবং পরিশোধের তারিখ দেখানো হবে। গ্রাহক এই তথ্য বিশদভাবে দেখে সঠিকভাবে পরিকল্পনা করতে পারবেন।
  • অটো ডেবিট: গ্রাহক চাইলে নির্দিষ্ট তারিখে তার বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ অটোমেটিক ডেবিট হিসাবে কেটে নেওয়া হবে। এটি গ্রাহকের জন্য সুবিধাজনক পরিকল্পনা প্রদান করে এবং ইন্টারেস্ট খরচ কমাতে সাহায্য করে।
  • নিজেই পরিশোধ: গ্রাহক চাইলে নির্দিষ্ট তারিখের আগে লোনের পরিমাণ নিজেই পরিশোধ করতে পারবেন। এটি গ্রাহককে ইন্টারেস্ট খরচ কমাতে সুবিধা প্রদান করে।
  • বিলম্ব ফি: যদি নির্দিষ্ট তারিখে গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে যথাযথ পরিমাণ অর্থ না থাকে এবংনির্দিষ্ট তারিখের আগে লোনের পরিমাণ গ্রাহক দ্বারা পরিশোধ না করা হলে, বিলম্ব ফি প্রয়োজন হতে পারে। বিলম্ব ফির হার লোনের পরিমাণের উপর বছরিক ২% হবে। এটি লোন পরিশোধে অনিবার্য স্থিতির জন্য গ্রাহকের উপর ধার্যকদের কপোরেটিভ ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন হয়।

বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের এই পদ্ধতি সহজ করে দেওয়া হয়। গ্রাহক বিকাশ অ্যাপে ড্যাশবোর্ডে পরিশোধের বিভিন্ন অপশন পাবেন, যার মধ্যে তারিখ নির্বাচন করতে পারবেন এবং সংশ্লিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন। গ্রাহকদের জন্য সহজেই পরিকল্পনা ও পরিচালনা সম্ভব হয়।

বিকাশ লোনের শর্তাবলি যা জানা প্রয়োজন

বিকাশ লোনের জন্য নিম্নলিখিত কিছু শর্তাবলি মেনে চলতে হয়:

গ্রহকের বিকাশ অ্যাকাউন্ট: 

লোনের জন্য আপনার একটি বৈধ বিকাশ অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। আপনার অ্যাকাউন্টটি এক্টিভ এবং নিরাপদ অবস্থায় থাকতে হবে।

বয়স ও স্থায়িত্ব: 

আপনাকে বিকাশ লোনের জন্য 18 বছরের বয়সের বড় হতে হবে। এছাড়াও, আপনার কাছে স্থায়িত্বশীলতা প্রমাণ করতে হবে।

যোগ্যতা অর্জন: 

আপনাকে বিকাশে লোনের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এটি সাধারণত আপনার ব্যবহারের ইতিবাচক ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। এটি অ্যাকাউন্টের ব্যবহার ইত্যাদি সম্পর্কিত পরিস্থিতিতে নির্ধারিত হতে পারে।

লোনের সীমা: 

বিকাশ লোনের সর্বাধিক সীমা ২০,০০০ টাকা। এই সীমার মধ্যে আপনি লোন গ্রহণ করতে পারবেন।

সুদের হার: 

বিকাশ লোনের জন্যসর্বাধিক ৯% বাণিজ্যিক সুদ হলো প্রযোজ্য। এটি বিকাশ লোনের অ্যামাউন্টের উপর আপ্লাইক্যবল হবে এবং প্রতি বছর লাগবে। বিকাশ লোনের জন্য আপনাকে প্রতি বছর নির্ধারিত সুদের হার পরিশোধ করতে হবে। এটি আপনার লোনের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে ক্যালকুলেট হয়।

আবেদনের জন্য যোগ্যতা: 

লোন গ্রহণের জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। এটি আপনার ব্যবহারের, আয়ের, বয়সের, কাস্টমার হিসাবের ওপর ভিত্তিতে নির্ধারিত হতে পারে।

লোনের সর্বাধিক মান: 

বিকাশ লোনের একটি সর্বাধিক মান সংযুক্ত থাকে, যেটি নির্দিষ্ট লোন গ্রহণযোগ্য হয়। এই সীমা মধ্যে আপনি লোন নিতে পারবেন।

সময়সীমা: 

লোন পরিশোধের জন্য আপনাকে নির্ধারিত সময়সীমা মেনে চলতে হবে। এই সময়সীমা আপনার লোনের মেয়াদ এবং করে তোলার সমযলোন এপ্রুভ হওয়ার পূর্বে সাধারণত ১০ থেকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে লাগে।

নিরাপত্তা প্রদান: 

বিকাশ লোনের ক্ষেত্রে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা সম্পর্কিত মেয়াদগুলি মেনে চলতে হবে। আপনাকে নিরাপত্তা মানদণ্ডগুলি অনুসরণ করতে হবে এবং আপনার অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে হবে।

বিকাশ লোনের শর্তাবলি বিকাশ এপ্লিকেশনে সম্পূর্ণ ভাবে উল্লেখ করা আছে। আপনি বিকাশ এপ্লিকেশন ব্যবহার করে লোনের জন্য আবেদন করার আগে বিকাশ ওয়েবসাইট বা অ্যাপটিতে শর্তাবলি এবং নির্দেশাবলী পড়ে দেখতে পারেন। এছাড়াও, আপনি বিকাশের কাস্টমার সাপোর্টে যোগাযোগ করে লোনের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন।

সিটি ব্যাংক বিকাশ লোন সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

সিটি ব্যাংক এবং বিকাশ লোন সংক্রান্ত কিছু সাধারণতম জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং তাদের উত্তরগুলি নিম্নলিখিত ভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:

১. সিটি ব্যাংক বিকাশ লোন কী?

উত্তর: সিটি ব্যাংক বিকাশ লোন হলো সিটি ব্যাংকের একটি সেবা যা ব্যাংকের কাস্টমারদের প্রদান করা হয় যারা একটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ করছেন। এই লোন দ্বারা কাস্টমাররা টাকা উত্তোলন করতে পারেন বা অন্যান্য আর্থিক প্রয়োজনগুলি পূরণ করতে পারেন।

২. কীভাবে সিটি ব্যাংক বিকাশ লোনের জন্য আবেদন করতে পারি?

উত্তর: সিটি ব্যাংকের বিকাশ লোনের জন্য আপনাকে অবশ্যই সিটি ব্যাংকের শাখায় যাওয়া প্রয়োজন। আপনাকে শাখায় যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে হবে, আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনে আরও নথিপত্র সরবরাহ করতে হবে। পরবর্তীতে আপনার আবেদনটি পর্যালোচনা করা হবে এবং যদি সম্মতি দেওয়া হয় তবে আপনি বিকাশ লোন পাবেন।

৩. সিটি ব্যাংক বিকাশ লোনের জন্য কোনও যোগ্যতা আছে কি?

উত্তর: সিটি ব্যাংক বিকাশ লোনের জন্য সাধারণতম যোগ্যতা ও শর্তাদি থাকতে পারে, যেমন ব্যাংকের ব্যাংকিং ইতিহাস, আয়ের প্রমাণপত্র, আবাসিক ঠিকানা, স্থায়ী চাকরি ইত্যাদি। এছাড়াও কাস্টমার টাকা উত্তোলনের উদ্দেশ্যে উত্তরপত্র সরবরাহ করা হতে পারে।

এই সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নগুলি সাধারণতম সিটি ব্যাংকের বিকাশ লোন সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা থেকে সংগৃহীত হয়। তবে, বিশদ তথ্যের জন্য আপনি সিটি ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে তথ্য জানতে পারেন।

96 thoughts on “সিটি ব্যাংক বিকাশ লোন । বিকাশ লোন ফরম ২০২৩”

  1. আমি নিয়মিত লেন দেন করি প্রতি মাসে অনেক টাকা লেন দেন করি এইবার নিয়ে দুই বার তথ্য হালনাগাদ করচি তার পরেও আমি লোন সেবাটি পাইনা কেনো

    Reply
    • সম্মানিত গ্রাহক,
      আপনার মেসেজটি পেয়ে আমরা সর্বোচ্চ খুশি হয়েছি!

      বিস্তারিত আর্টিক্যালটি পড়ে নিন এবং সঠিকভাবে Apply করুন

      ধন্যবাদ
      Bank Loan BD Team
      https://bankloanbd.com/

      Reply
  2. ভাই আমার বিকাশ লেনদেন বাপরে বলে নাই এটাই বিকাশ বলা জন্য আমির ৩ বার হালনাগাদ তথ্য হয়ে গেছে তারপরে লোন পাইনি একনাগাড়ে ভাই আপনার লোন দানা কিনত দিয়া করে আরকিছুই বলবেন ভাই

    Reply
  3. আমাকে কিছু টাকা লোন দিয়ে সাহায্য করেন

    Reply
  4. আমি ব্যবসা করি আমার কিছু লোনের খুবই প্রয়োজন

    Reply
  5. আমি লোন নিতে চাই ১ মাসের জন্য
    ১০ হাজার টাকা, খুব উপকার হত,
    সময় মত দিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ

    Reply
  6. ফোন নাম্বার আপনাদের সাথে কি কোন ভাবে যোগাযোগ করার মতন ব্যবস্থা আছে

    Reply
  7. আমি লোন নিতে চাই বিকাশ থেকে, কিন্তু কিভাবে লোন পাবো

    Reply
  8. স্যার আমার বিশ হাজার টাকা লাগবে বিপদে আছি আমি তিন মাসের লগে নেব আমার বিকাশ সব সময় চালু থাকে

    Reply

Leave a Comment